এম এ হীরা গোয়ালন্দঃ দৌলতদিয়া সাত গ্রামের মানুষের যাতায়াতের এক মাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের পদ্মা নদীর শাখা ক্যানেল ঘাট এলাকার সাত গ্রামের মানুষের যাতায়াতের এক মাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো।
সাঁকোর মাঝে দিয়ে বয়ে গেছে পদ্মা নদীর শাখা। কাটাখালী – দৌলতদিয়া নদীর ক্যানেল। এর ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ৭টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
কয়েকদিন ধরে এই বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে পড়ে গেছে। কয়েক হাজার মানুষের চলাচলের দুর্ভোগ দেখা গেছে। দৌলতদিয়া সাত গ্রামের মানুষের যাতায়াতের এক মাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো এই শিরোনামে কয়েকদিন আগে দৈনিক বাংলা ৭১ ও প্রজন্মকন্ঠ অনলাইন নিউজে একটি ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। প্রতিবেদনটি দৃষ্টিতে আসে দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের মানবিক ও সুযোগ্য চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডলের। তিনি তার পরিষদের সদস্য বৃন্দ দের নিয়ে পরিদর্শনে আসেন বাঁশের সাঁকো দেখতে। এবং তিনি ঘোষণা দেন আগামী দিনের মধ্যেই নতুন করে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ কাজ শেষ করার। বর্ষার আগেই নতুন করে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ হচ্ছে এ নদী ভাঙ্গন এলাকায় এতে আনন্দিত এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী জানান, সাত গ্রামের প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের পারাপারে একমাত্র ভরসা একটি সাঁকো। প্রায় ১০ বছর ধরে এলাকাবাসী এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মিলে সাঁকোর বাঁশ পচে নষ্ট হলে সংস্কার ও পুনর্নির্মাণ করেন তারা।এখন বর্ষা ঋতুতে রাতে-দিনে নির্বিঘ্নে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাফেরা করার জন্য নতুন করে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে দিচ্ছেন আবদুর রহমান চেয়ারম্যান এতে আনন্দিত আমরা।
সোমবার দুপুরে বাঁশের সাঁকো নতুন করে নির্মাণের ঘোষণা দেন আব্দুর রহমান মন্ডল চেয়ারম্যান দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আয়ুব আলি খান মেম্বার ৩ নং ওয়ার্ড, গফুর খান ইউপি সদস্য, আবুল কালাম আজাদ সাধারণ সম্পাদক ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, গায়েন জুয়েল রানা শিক্ষক দৌলোদিয়া মডেল হাই স্কুল, ইয়াসিন শেখ দৌলতদিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ সহ শতাধিক এলাকাবাসী। ঘোষণাতে বলা হয় মঙ্গলবার থেকে কাজ শুরু করে আগামী সাত দিনের মধ্যে কাজ শেষ করা হবে।
সরজমিনে গিয়ে জানাযায় প্রতিদিন এই সাঁকো দিয়ে দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ১নং বেপারি পাড়া, সাহাজদ্দিন বেপারী পাড়া, লালু মন্ডল পাড়া, নতুন পাড়া, ইদ্রিস পাড়া, নাসীর সরদার পাড়া, ও দেবগ্রাম ইউনিয়নের মুন্সী বাজার এলাকা সহ ৭ টি গ্রামের মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করেন। এছাড়া পার হন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, কিষাণ-কিষাণী ও ব্যবসায়ীসহ হাজার হাজার মানুষ।
সরেজমিনে আরো দেখা যায়, প্রায় ১৫০-১৩০ ফুট দীর্ঘ সাঁকোতে চলাচলের সময় কাঁপতে থাকে। সাঁকোটি দিয়ে প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ হাজার মানুষ যাতায়াত করেন।
দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য আয়ুব আলী খান বলেন, ওই স্থানে সেতু না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঝুকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করছে। দ্রুত সেতু নির্মাণের জন্য দাবী জানাচ্ছি। এবং ওয়ার্ডবাসীর নির্বিঘ্নে চলাচল করার জন্য আমার প্রিয় চেয়ারম্যান আবদুর রহমান মণ্ডল ও আমি দুজনে উদ্যোগ নিয়ে আবার নতুন করে বাঁশের সাঁকো করে দিচ্ছি।
দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান মন্ডল বলেন , এলাকাবাসীর দাবী ও জনগণের দুর্ভোগ কমানোর জন্য নতুন করে আগামী ৭ দিনের মধে বাঁশের সাঁকো
নির্মাণ করা হবে। এবং পরিবর্তে সরকারি উদ্যোগে ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট