বার্তা ডেস্কঃ সিলেট জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, সিলেট সদরের বেশির ভাগ এলাকা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় প্রায় ১০ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তাদের উদ্ধার করা ছাড়াও মানুষের দুর্ভোগ কমাতে কাজ করবে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। পাশাপাশি সুনামগঞ্জেও কাজ করবে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
আইএসপিআর সূত্রে জানা গেছে, সিলেট সদর, গোয়াইনঘাট এবং সুনামগঞ্জের দিরাই, কোম্পানিগঞ্জ, ছাতক, দোয়ারাবাজার ও জামালগঞ্জ উপজেলায় নামছে সেনাবাহিনী।
ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে টানা বৃষ্টির ফলে গলা পানিতে ডুবে গেছে পুরো সুনামগঞ্জ। বানের জলে ভেসে যাচ্ছে পশুপাখি, ঘরবাড়ি। বৈদ্যুতিক লাইন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় জেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় সেখানে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান বলেন, সুনামগঞ্জের বন্যা মোকাবিলায় সেনাবাহিনী পাঠানো হয়েছে। ত্রাণ কার্যক্রম সচল রাখার পাশাপাশি উদ্ধারকাজ পরিচালনা করবেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। সেইসঙ্গে এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার কাজেও যুক্ত হবে সেনাবাহিনী।
সেনাবাহিনী ৫ টি কাজ করবে-
১. পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নেয়া।
২. বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র নির্বাচন এবং উদ্ধারকৃত ব্যক্তিবর্গের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা।
৩. চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা
৪. খাদ্য গোডাউন, পাওয়ার স্টেশন এবং অন্যান্য স্থাপনা রক্ষায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করা।
৫. সীমিত পরিসরে খাদ্য এবং সুপেয় পানি সরবরাহ করা।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহুরুল ইসলাম শুক্রবার সকালের তথ্যমতে বলেন, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বন্যার পানি বিপৎসীমার ১২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির এই প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট