শ্রাবণ হাসানঃ ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার ৪টি গ্রামবাসীর কুমার নদ পারাপারে একমাত্র ভরসা করতে হয় নৌকার উপর। এই চার গ্রামবাসীর খেয়া নৌকায় করেই পার হয়ে যেতে হয় কর্মস্থলে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং বাজার করতে। এতে প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে কয়েক হাজার মানুষের। বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা সমস্যা পোহাচ্ছে অনেক বেশি।
জানা যায়, নগরকান্দা উপজেলার কল্যানপুট্টি, কুমারকান্দা, আইনপুর ও বাঘুটিয়া গ্রামের তিন দিকেই কুমার নদে ঘেরা। একদিকে রয়েছে স্থলপথ, সেই পথ আবার অনেক দুরের। নিত্যপণ্যে বা বাজার করতে নিকটবর্তী সালথা উপজেলার মাঝারদিয়া বাজারেই যেতে হয় তাদের। সেক্ষেত্রে নৌকা ছাড়া পারাপারের অন্য কোনো পথ নেই তাদের। এই গ্রামগুলোর বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা পাশ্ববর্তী মাঝারদিয়া আলিয়া মাদ্রাসায় অধ্যায়নরত। প্রতিনিয়ত নৌকায় পার হয়েই যেতে হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। বেশ কিছুদিন ধরে কচুরিপানায় পূর্ণ হয়ে আটকে রয়েছে, এতে করে নৌকা চলাচল আরো কঠিন হয়ে পড়েছে। দূর্ভোগও আরো বেরেছে প্রতিদিন যাতায়াত করা হাজারো মানুষের।
স্থানীয়রা জানান, আমরা এমন গ্রামে বসবাস করি, যেখানে নৌকা দিয়েই পারাপার হতে হয়। যোগাযোগ ব্যবস্থার অনুন্নত দেখে অনেকেই আমাদের গ্রামে আত্মীয় বা ছেলে-মেয়েও বিয়ে দিতে চায় না। গ্রামগুলোর নাম শুনলেই তারা পিছিয়ে যায়। আমাদের একটিই দাবি গ্রামগুলোর সাথে মাঝারদিয়া বাজারে যেতে একটি ব্রিজ করে দেয়া হোক।
কল্যাণপুটি গ্রামের আমিনুর রহমান এক ঢাবি শিক্ষার্থী এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি ছোট বেলা থেকেই দেখে এসেছি এই কয়েক গ্রামবাসী নৌকা দিয়েই পারাপার হয়ে থাকে। আমাদের বিভিন্ন কাজের জন্য মাঝারদিয়া বাজারই একমাত্র ভরসা। একটু বৃষ্টি হলেই দুপাড়ের ঘাটে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। এসব কারনে আমাদের এখানে ভালো কোনো ব্যক্তি আসতে চায় না। গ্রামবাসী ভালো কোনো জায়গা আত্মীয়ও করতে পারে না। এমনকি পুলিশও গ্রামগুলোতে আসতে চায় না। এখানে কোনো অপরাধমূলক কাজ হলে পুলিশও দ্রুত আসতে পারে না। এছাড়া কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে গ্রামগুলোতে এ্যাম্বুলেন্সও প্রবেশ করতে পারে না, নৌকায় পার করে নিতে হয়। নানাবিধ সমস্যার মধ্যে দিয়ে চলতে হয় আমাদের। এখন আমাদের একটিই দাবি, এই ঘাটে একটি ব্রিজ করে দেয়া হোক। তাহলে, এই গ্রামবাসীদের স্বস্তি ফিরে আসবে।
ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট