সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ফরিদপুরের সালথা প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক, দৈনিক মানবকণ্ঠের সালথা উপজেলা প্রতিনিধি, সাংবাদিক হাসান মোল্যার পরিবারের উপর গত ১৩ নভেম্বর ২০২১ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অতর্কিত হামলা চালায় উপজেলা রামকান্তপুর ইউনিয়নের খলিশাডুবি গ্রামের আহম্মাদ মোল্যার ছেলে রুবেল মোল্যা, জুয়েল মোল্যা, নাঈম মোল্যা ও এরশাদ মোল্যাসহ অজ্ঞাত কয়েকজন।
এতে গুরুতর জখম হয় সাংবাদিক হাসান মোল্যার ভাই শফিকুল মোল্যা ও ফারুক মোল্যা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সালথা থানা পুলিশ গেলে আসামীগন পালিয়ে যায়। পরে পুলিশের বিশেষ অভিযানে আসামীদের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমান রক্তমাখা দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় সালথা থানায় উল্লেখিত ব্যক্তিদের আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয় গত ১৬ নভেম্বর ২০২১, যার মামলা নং-১১/জিআর/১৪০/২১। মামলায় ১ জনকে কোর্ট থেকে জেল হাজতে প্রেরণ করে বিজ্ঞ আদালত। এতে তারা আরও ক্ষিপ্ত হয় এবং গত ১৯ ডিসেম্বর ২০২১ (১মাস ৬ দিন পর) পাল্টা সাংবাদিক হাসান মোল্যার পরিবারের ৬ জনকে আসামী করে কোর্টে মিথ্যা মামলা করার অভিযোগ উঠেছে।
সাংবাদিক হাসান মোল্যা জানান, আসামীরা আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে এসে গত ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ দুপুরের তার নিজ বাড়ির সামনে আসামীগন আসিয়া হুমকি দেয় যেন তাদের নামের দায়েরকৃত মামলা উঠিয়ে নেওয়া হয়, না হলে আমাকে ও আমার পরিবারের যেকোন ব্যাক্তিকে পাইলেই খুন করে লাশ গুম করে ফেলবে।
এতে আমিসহ আমার পরিবারের সব সদস্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এতে সালথা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। যার জিডি নং-২৪৬। তারিখ ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, আহম্মদ মোল্যাকে ফোনে না পেয়ে তার বাড়িতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। পরিবারের অন্যলোক সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে চাননি।
সালথা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিকরা দেশের চতুর্থ স্তম্ভ। সাংবাদিক পরিবারে মিথ্যা মামলা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। সাংবাদিক হাসান মোল্যার পরিবারের নিরাপত্তায় প্রদানসহ প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আশিকুজ্জামান জিডির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে তারা আইনগত
ব্যবস্থা নিবেন।