বিশেষ প্রতিনিধি: ফরিদপুরের সালথায় দুই ভাইকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
শুক্রবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের সিংহপ্রতাব গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- সিংহপ্রতাব গ্রামের মৃত শাহিদ শিকদারের ছেলে দেলোয়ার শিকদার (৫০) ও জিয়া শিকদার (৩৫)। পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তির জন্য পাঠান। তারা এখন ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
আহত দেলোয়ার শিকদার অভিযোগ করে বলেন- প্রতিপক্ষের জব্বার খালাসী, সুজাদ খালাসী ও কাসেম খালাসী দীর্ঘদিন ধরে আমার কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে আসছিল। তারা সবাই সাবেক ইউপি সদস্য ইব্রাহিম মোল্যার সমর্থক। আমি এত টাকা দিতে রাজি না হলে পরে ১ লাখ টাকা দাবী করে। তাও আমি দিতে রাজি না হলে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয় ওরা।
শুক্রবার রাতে হঠাৎ এসে তারা আমাকে ৫ হাজার টাকা দিতে বলে। দাবিকৃত টাকা না দেওয়ায় তারা লোকজন নিয়ে এসে আমাদের দুই ভাইয়ের উপর হামলা চালায়। তারা আমাকে রামদা দিয়ে পায়ে কোপ দেয় ও আমার ভাই জিয়াকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গ ফেলে।
তিনি আরও বলেন, শুধু আমাদের কুপিয়ে আর পিটিয়ে আহত করে ক্ষান্ত হয়নি তারা। আমাদের উপর হামলার পর হামলাকারীরা আমাদের বাড়ির চারপাশ ঘিরে রাখে। আমাদের হাসপাতালেও নিতে দেয় না। পরে ওসি স্যার এসে আমাদের উদ্ধার করে তার পকেটের টাকা দিয়ে এ্যাম্বুলেন্স ঠিক করে হাসপাতালে পাঠায়।
এদিকে হামলাকারীদের হাত থেকে আহতদের উদ্ধার করে নিজের পকেটের টাকা দিয়ে এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে তাদের হাসপাতালে পাঠানােয় ওসির ব্যাপক প্রশংসা করেন স্থানীয়রা। তারা বলেন, ওসি সাহেব একটি ভাল কাজ করেছেন, যা সত্যিই প্রশংসনীয়।
তবে দেলায়ারের অভিযােগ অস্বীকার করে সাবেক ইউপি সদস্য মাে. ইব্রাহিম মােল্যা বলেন, কেউ কারাে কাছে চাঁদা দাবী করেনি। এটা কােন পরিকল্পিত ঘটনাও নয়। পাওনা টাকা চাওয়ার জের ধরে ঝামেলা হয়েছে। জব্বার খালাসী দেলায়ারের ছেলে সাকিলের কাছে ৫ হাজার টাকা পাব। সেই টাকা কয়েকবার চাইলেও ফেরত দেয় না সে। পরে বিষয়টি নিয়ে সালিশ হলে মাত্র এক হাজার টাকা ফেরত দেয়। বাকি টাকা নিয়ে ঘুরাঘুরি করতেছিল। শুক্রবার রাতে ওই টাকা চাওয়া নিয়ে জব্বার আর সাকিলের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে দুই পরিবারের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে দেলােয়ার আর জিয়া আহত হয়।
সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাে. শেখ সাদিক বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেই। পাশাপাশি আহতদের উদ্ধার করে আমার নিজের টাকা দিয়ে গাড়ি ঠিক করে হাসপাতালে পাঠাই। এ ঘটনায় অভিযােগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নুরুল ইসলাম
সালথা