নওগাঁর ধামইরহাটে পর্যাপ্ত সারের মজুত থাকার পরও বিক্রি না করা এবং অতিরিক্ত দাম রাখার অপরাধে মেসার্স বিতরণী ট্রেডার্সের মালিক আবু হেনা নুর মোহাম্মদকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (১০ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার আমাইতারা বাজারে অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শামীম হোসেন।
তিনি বলেন, উপজেলার আমাইতারা বাজারে মেসার্স বিতরণী ট্রেডার্সে সারের মজুত থাকার পরও মালিক বিক্রি করছিলেন না। এছাড়া বিক্রি করা হলেও ক্রেতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত মূল্য নেওয়া হয়।
এমন অভিযোগে সেখানে অভিযান চালানো হয়।
শামীম হোসেন বলেন, আমরা ক্রেতা বেশে সেখানে গেলে বলা হয়, পটাশ সার নেই। আবার প্রতিবস্তা পটাশের দাম ৭৫০ টাকা কিন্তু বিক্রি করা হচ্ছে ১৩০০-১৫০০ টাকায়। পরে তার গোডাউনে প্রায় ২৫-৩০ বস্তা পটাশ সার মজুত পাওয়া যায়। এছাড়া এই বিএডিসি ডিলার জুলাই মাসের ১৭ তারিখ পর্যন্ত স্টক রেজিস্টারে পটাশ সারের মজুত দেখান ৪৬ বস্তা। কিন্তু ১৭ তারিখের পর থেকে আজ পর্যন্ত বিক্রয় ভাউচারে ৩১৮ বস্তা পটাশ বিক্রির প্রমাণ মেলে, যা তার হিসাবের সঙ্গে অসঙ্গতি দেখায়।
ভোক্তা অধিকারের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, সারের মজুত থাকা স্বত্বেও বিক্রি না করা এবং অতিরিক্ত মূল্য রাখার অপরাধে ওই দোকান মালিককে ভোক্তা অধিকার আইনে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। পরে প্রাপ্ত সার উপস্থিত ক্রেতাদের মাঝে বিক্রি করা হয়।
এসময় ধামইরহাট নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক আনিসুর রহমান এবং পুলিশের একটি দল উপস্থিত ছিল।
আজকের কন্ঠ
নওগাঁ