নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ফরিদপুরের ভাঙ্গায় স্থানীয় সংবাদকর্মীকে জীবননাশের হুমকিসহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের জন্য নিরাপত্তার জন্য চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে থানায় ডায়েরী করেছেন সাংবাদিক।
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় এক সংবাদকর্মীকে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল, চোখ উঠিয়ে নেয়া, বাড়ী থেকে তুলে নেয়া সহ বিভিন্ন হুমকি দেয়া হয়েছে।
এ সময় দেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি, থানার অফিসার ইনচার্জকে নিয়ে সম্মানহানীকর ভাষা ব্যক্ত করেছেন উপজেলার আলগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ম.ম. সিদ্দিক মিঞা।
চেয়ারম্যান ও তার পাশে থাকা বেশ কয়েকজন ব্যক্তি বাংলা নিউজ টিভি নামক একটি আইপিটিভি চ্যানেলের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ লিয়াকত কাজীকে মোবাইল ফোনে হুমকি দেন।
সংবাদকর্মীর সাথে চেয়ারম্যানের কথোপোকথন ও হুমকি দেয়ার কল রেকর্ডটি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
ইতোমধ্যে, ভাইরাল হওয়া এই কল রেকর্ড নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করেছেন নেটিজেনরা।
এ ঘটনায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভাঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করা হয়েছে।
ডায়েরী করা উল্টানো কপি
জানা যায়, উপজেলার আলগী ইউনিয়নের শাহমুলুকদী এলাকায় ইয়াবা বিক্রয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুইটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা হয়।
সম্প্রতি, স্থানীয়দের উপস্থিতিতে তথ্য সংগ্রহ, বক্তব্য ও ইউপি চেয়ারম্যানের বলা মোবাইল ফোনের বক্তব্য অনুযায়ী একটি রিপোর্ট করেন লিয়াকত কাজী।
বাংলা নিউজ টিভি চ্যানেলে “মাদক বিক্রেতাকে বাধা দেওয়ায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ” শিরোনামে সংবাদ প্রচারিত হয়। দুই মিনিট ৪৮ সেকেন্ডের এ সংবাদটি দেখে শুক্রবার (২৮ জানুয়ারী) দুপুর ১টা ৫৮মিনিটে সংবাদকর্মী লিয়াকতকে ফোন করেন চেয়ারম্যান সিদ্দিক মিঞা।
কথোপোকথন শুরু হতেই লিয়াকত কাজীকে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করেন সিদ্দিক মিঞা। এ সময়, চেয়ারম্যান ও তার পাশে থাকা বেশ কয়েকজন উত্তেজিত কন্ঠে হুমকি দেয়। সংবাদকর্মীর চোখ উঠিয়ে ফেলা, বাড়ী থেকে তুলে নেয়া, জেল হাজতের হুমকি সহ অশ্লীল ও অশালীন ভাষায় গালাগাল করেন তারা।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা সম্পর্কে মন্তব্য করা, সমাজের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদকর্মীকে অঙ্গহানির হুমকি দেয়া ও ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) ফাঁসিয়ে দিছি বলে সম্মানহানীকর ভাষা ব্যক্ত করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান।
এ ঘটনায় প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক্স ও অনলাইন মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীরা, স্থানীয়রা, সুশীল সমাজ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা বিভিন্নভাবে ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার ওসি মোঃ সেলিম রেজা বলেন, আমি জিডির জন্য এস আই আব্দুল সালামকে নির্দেশ দিয়েছি এবং পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে।