স্থানীয়রা জানান, প্রাইভেট কারটি পাচ্চর পেট্রোলপাম্প থেকে তেল নিয়ে উল্টো পথে রওয়ানা করে। এ সময় ইমাদ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস প্রাইভেটকারটিকে (ঢাকা মেট্রো-গ-৩১-১৪৫৫) ধাক্কা দেয়। এতে প্রাইভেট কারের যাত্রী খলিল মাতুব্বর (৬৫) নিহত হন এবং দুজন আহত হন।
দূর্ঘটনার পর দুর্ঘটনা কবলিত যাত্রীদের উদ্ধার করতে এলাকাবাসীরা এগিয়ে আসেন।এ সময় গোপালগঞ্জগামী যাত্রীবাহী গ্রামীন পরিবহনের আর একটি বাস উদ্ধারকারীদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে এলাকার উদ্ধারকারী আরও ৩জন মারা যান এবং আহত হন আরও ৩জন। নিহতরা হলেন মোস্তফা শিকদার (৫২), রোকেয়া বেগম (৪৫) ও ভ্যান চালক লিটু শরীফ(৫০)।
এছাড়া অপর উদ্ধারকারী মোফাজ্জেল হোসেন খানকে (৫৫) ফরিদপুর নেয়ার পথে মারা যায়। মোফাজ্জেল হোসেন শিবচরের বাচামা গ্রামের লাল মোহাম্মদ খানের ছেলে। নিহতদের মধ্যে ৪ জনই শিবচরের বাচামারা ও মাদবরচর এলাকার পথচারী বলে শিবচর হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ গাজী সাখাওয়াত হোসেন জানান। এদের মধ্যে মোস্তফা শিকদার ও রোকেয়া বেগম একই বাড়ির।
এই দূর্ঘটনায় আহতরা হলেন – প্রাইভেট কারের চালক আশিকুর রহমান সেলিম (৫৩) ও তার মা রোকেয়া বেগম(৫৮)। এছাড়া ফারুক মাদবর গরুতর আহতাবস্থায় ফরিদপুরে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহত ফারুক শিবচরের বাচামারা এলাকার কুটি মাদবরের ছেলে। ঘাতক গ্রামীন পরিবহনের বাসটিকে আটক করেছে পুলিশ তবে চালক পলাতক রয়েছে।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মিরাজ হোসেন জানান, ‘দূর্ঘটনার খবর পেয়েছি। ৫ জনের মৃত্যুর খবর পেলাম। নিহতদের একজন প্রাইভেট কারের এবং অপর ৪ জন স্থানীয় বাসিন্দা। স্থানীয় ৪জনই দূর্ঘটনা কবলিতদের উদ্ধার করতে এগিয়ে এসেছিল।এছাড়া প্রাইভেট কারের ২জন যাত্রীসহ ৪জন গুরুতর আহত রয়েছেন।