শিবচর থানায় রোববার সকাল ১০টার দিকে মামলাটি করেন দুর্ঘটনায় নিহত দত্তপাড়া ইউনিয়নের হাজিরকান্দি গ্রামের রোকেয়া বেগমের ছেলে শাহাদাত হোসেন শিকদার।
মামলায় প্রাইভেট কার ও দুই বাসের চালককে আসামি করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.মিরাজ হোসেন।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, গত শনিবার রাত ৮টার দিকে শিবচর উপজেলার ভাঙ্গা-ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ের হাজী শরীয়তউল্লাহ সেতুর পাশে সড়কে প্রথমে ঢাকাগামী একটি প্রাইভেট কারকে গ্রামীণ পরিবহনের একটি বাস ধাক্কা দেয়।
এ সময় কারটি দুমড়েমুচড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই মাদারীপুরের শিরখাড়া এলাকার মো.খলিল মাতুব্বর (৬৫) মারা যান। খবর পেয়ে স্থানীয়রা দ্রুত দুর্ঘটনা কবলিত প্রাইভেট কারের যাত্রীদের উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেন।
এ সময় ঢাকাগামী ইমাদ পরিহনের আর একটি বাস উদ্ধারকারীদের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনজন প্রাণ হারান এবং গুরুতর আহত একজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনায় মোট পাঁচজন নিহতের ঘটনায় থানায় মামলা করেছেন এক নিহতের ছেলে।
শিবচর থানার ওসি মিরাজ হোসেন জানান, দুর্ঘটনায় নিহত রোকেয়া বেগমের ছেলে শাহাদাত হোসেন প্রাইভেট কার চালক আশিকুর রহমান সোহেল এবং ইমাদ পরিবহন ও গ্রামীণ পরিবহনের অজ্ঞাত চালকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। মামলার তদন্তভার দেয়া হয়েছে শিবচর হাইওয়ে পুলিশকে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে শিবচর হাইওয়ে পুলিশের ওসি গাজী মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, প্রাইভেট কারের যাত্রীদের উদ্ধার করার সময় গোপালগঞ্জ থেকে আসা ইমাদ পরিবহনের বাস স্থানীয়দের চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই বাঁচামারা এলাকার মোস্তফা শিকদার(৫২),রোকেয়া বেগম(৪৫), ভ্যানচালক মো. লিটু শরীফ(৫০) ও মোফাজ্জেল হোসেন খান(৫৫) নিহত হন।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় গ্রামীণ পরিবহনের বাসটি আটক করা হলেও ইমাদ পরিবহনের বাসটিকে আটক করা যায়নি।দুই বাসের চালকই পলাতক রয়েছে।