নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ফরিদপুরের মধুখালী গড়াই নদীর মাটি যাচ্ছে ইট ভাটায় আর এসব ভাটায় দেদারছে পুড়ছে গাছপালা’র কাঠও, যেন দেখার কেউ নেই। নদী তীরবর্তী ভাটাগুলো থাকার সুবাধে অবৈধভাবে এ মাটি উত্তোলন করছে উপজেলার বাগাট ইউনিয়নের রায়জাদাপুরের এমএনজেডবি নামক একটি ভাটা। এদিকে ভাটার মালিক সাংবাদিক বলে জানায় ভাটায় কর্মরত কয়েকজন স্টাফ, তবে অনুসন্ধানে জানা যায় ভাটার মালিক রয়েছে অন্যরা।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ইং) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মধুখালী গড়াই নদীর তীরে অবস্থিত এমএনজেডবি নামক ভাটাটি। বর্ষা মৌসুম শেষে বর্তমানে নদীটি শুকিয়ে গেছে প্রায়ই, জেগে উঠেছে পার। এরই সুযোগে সুযোগ লুফে নিচ্ছে এই ভাটাটি। নদীতে অবৈধভাবে একদিক ভেকু বসিয়ে দেদারছে কেটে যাচ্ছে মাটি। এসব মাটি ট্রাক ভরে ফেলানো হচ্ছে ভাটাটিতে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে স্থানীয় চাষীরা। এই মৌসুমে মূলত স্থানীয় কৃষকেরা এখানে বাদাম চাষ করে থাকেন। জেগে উঠা মাটি কেটে ফেলায় বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে তাদের চাষাবাদ। এদিকে ঐ ভাটায় গিয়ে দেখা যায় অন্য দৃশ্যপট। সারি সারি করে সাজিয়ে রাখা হয়েছে বিভিন্ন গাছপালার কাঠ। এই গাছপালার কাঠ ব্যবহারে রয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তরের নিষেধাজ্ঞা। তা সত্ত্বেও দেদারছে পুড়িয়ে যাচ্ছে তারা।
এসব বিষয়ে ভাটায় গেলে কর্মরত স্টাফরা জানায়, এই ভাটার মালিক সাংবাদিক মিজান। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ফোনেও ধরিয়ে দেন তারা। একপর্যায়ে ঐ সাংবাদিক নিজেই জানান আমি ভাটার মালিক না, ভাটা আমার পরিচিতদের। ছবুর নামে এক ব্যক্তি মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে জানায়, ভাটার মালিক রয়েছে ১৪/১৫ জন। এর মধ্যে মূল হলো জিয়াউর রহমান। আর মাটি কাটা হচ্ছে আমাদেরই জায়গা থেকে, এটা অবৈধভাবে না। খড়ি পোড়ানোর অনুমতি রয়েছে, এজন্য পোড়াচ্ছি। এদিকে ভাটার মালিক মিলন নামে একজনের নামও জানা যায়।
গড়াই নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলোনের বিষয়ে মধুখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিকুর রহমান এই প্রতিবেদককে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে আমি আগামীকাল (বুধবার) দুপুরের মধ্যে অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। অবৈধভাবে গাছপালা পোড়ানোর বিষয়ে ফরিদপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এএইচএম রাশেদ এই প্রতিবেদককে বলেন, বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখবো, প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।