বৃক্ষ ছাড়া মানুষের জীবন অচল পৃথিবীতে জীবের অস্তিত্ব টিকেয়ে রাখার জন্য অক্সিজেনের বিকল্প নেই আর তা পেয়ে থাকি বৃক্ষ থেকে। আর এই বৃক্ষের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে শখের বসে নার্সারী করে স্বাবলম্বী হয়েছেন বৃক্ষপ্রেমী বেকার যুবক আলম প্রধান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায় বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের দক্ষিন বালিয়াকান্দি গ্রামে গড়ে উঠেছে ভাই ভাই নার্সারী সেখানে ফলদ বনজ ও ভেষজ গাছের চারার সমারহ। চারা উৎপাদন ও সরবরাহ করছে ৬/৭ জন শ্রমিক। দূর- দুরান্ত থেকে চারা ক্রয়ের জন্য এসেছে অনেকেই।
চারা ক্রয় করতে আসা রহিম জানান, আলম ভাই এর নার্সারীতে অনেক প্রজাতীর চারা থাকায় দেখেশুনে প্রয়োজনীয় চারা ক্রয় করতে এসেছি।
নার্সারী মালিক আলম প্রধান বলেন, ছোটবেলা থেকেই আমার শখ গাছ লাগানোর। বাগানে বা রাস্তায় কোন বীজ পরে থাকতে দেখলে তা সংগ্রহের মাধ্যমে চারা উৎপাদন করে বিনামূল্যে রাস্তার পাশে বিদ্যালয়ে বা মানুষের বাড়ীতে লাগিয়ে দিতাম। ১৫ বছর পূর্বে গাছের প্রতি ভালবাসা ও শখের বসে আমাদের বাড়ীর ভিটার চৌদ্দ শতাংশ জমিতে নার্সারী করি। চারার মান ভালো হওয়ায় অনেকেই চারা কিনতে আমার বাড়ীতে আসলে আমি কিছু চারা বিক্রি করে পরিবারে কিছুটা আর্থিক চাহিদা মিটাতাম। তখন আমার আর কোন আয়ের উৎস নাথাকায় ও গাছের চারার ব্যাপক চাহিদা থাকায় আমি নার্সারীর ব্যাবসা শুরু করি। বর্তমানে আমি আট পাখি জমিতে নার্সারী গড়ে তুলেছি। আমার নার্সারীতে আম, জাম কাঁঠাল, মেহগনী, শাল সেগুন, অর্জুন হরতোকি বহেরাসহ বিভিন্ন প্রকার ফলদ, বণজ, ভেসজসহ ফুলের চারা রয়েছে। চারা উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে আমি নার্সারী থেকে মাসে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা আয় হয়, যা থেকে আমার সংসারের ব্যায় বাদে আমার বেশ কিছু টাকা সঞ্চয় হয়।