বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে দশটায় ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে ভুক্তভোগী পরিবার ও ফরিদপুর বাসীর উদ্যোগে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
আয়োজক কমিটির সভাপতি মোস্তফা আমীর ফয়সালের সভাপতিত্বে মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন-ফরিদপুর নাগরিক মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক প্রবীর কান্তি বালা, নারীনেত্রী ও ব্লাস্ট এর নির্বাহী পরিচালক এ্যাডভোকেট শিপ্রা গোস্বামী, খেলাঘরের সভাপতি আলতাফ হোসেন, ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য শরিফুল ইসলাম সুজন, সঞ্জয় সাহা, রুমন চৌধুরি, রিশান মাহমুদ রনী, হোসনে আরা, পারভেজ হাসান রাজিব, আল আমিন প্রমূখ।
বক্তারা উপরোক্ত দুটি ঘটনার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন। বক্তারা বলেন, ফরিদপুরে যেভাবে দিনের পর দিন ব্যাঙের ছাতার মতো হাসপাতাল,ডায়াগনোস্টিক সেন্টার গড়ে উঠছে সেভাবে চিকিৎসার মান উন্নত হচ্ছে না। অনেক ক্লিনিকেই কোন ডাক্তার না থাকায় আয়া ও নার্সরা রোগীদের চিকিৎসা প্রদান করছেন। উল্টাপাল্টা চিকিৎসা প্রদান করে সাধারণ মানুষ ও রোগীদের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছেন।
একইসাথে রোগীর পেটে কাচি রেখে সেলাই করার মতো ঘটনা, নবজাতকের কপাল কাঁটার মতো ঘটনা এবং নবজাতকের হাত ভাঙার ঘটনা হরহামেশাই ঘটছে। এগুলো দেখার মত কেউ নেই। এসমস্ত রোগী এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এসে অত্যন্ত অসহায় হয়ে পড়ছেন।
বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, এসব ঘটনা একের পর এক চললেও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, সরকারি নজরদারি এবং মনিটরিং তেমনভাবে জোরালো না হওয়ার কারণে দিনের পর দিন এই অবস্থা চলছে। যদিও দুটো ক্লিনিক সাময়িকভাবে বন্ধ হওয়ায় জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান। একইসাথে তাদের মনিটরিং অব্যাহত থাকবে বলে দাবি করেন। তারা অবিলম্বে আল-মদিনা হাসপাতাল ও আরামবাগ হাসপাতালের এ ধরনের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও সরকারের নিকট দাবী জানান।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ জানুয়ারি ফরিদপুর পৌর শহরের আল-মদিনা প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গাইনি ডাক্তার ছাড়াই সিজার করতে গিয়ে নবজাতকের কপাল কেটে ফেলেন আয়া ও নার্স। কপালে ৯টি সেলাই দেয়া হয়। এ ঘটনায় ক্লিনিকের মালিক মো. জাকারিয়া মোল্লা পলাশ ও আয়া চায়না বেগমকে আটক করেছে পুলিশ।
গত ১৩ ডিসেম্বর ২০২১ আরামবাগ হাসপাতালে সিজার চলাকালে চিকিৎসকের অবহেলায় নবজাতকের হাতের কনুই থেকে হাড়ের জয়েন্ট ছুটে যায়।