স্টাফ রিপোর্টারঃ ফরিদপুর শহরের টেপাখোলায় বিসমিল্লাহ্ টাইলস্ এন্ড সেনেটারীর দোকানে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করছে দুর্বৃত্বরা। হামলায় দোকানের মালিক আব্দুর রাজ্জাক রাজাকে গুরতর আহত করে হামলা কারীরা। তিনি এখন ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
এ ব্যাপারে আহত রাজার ছোট ভাই জহিরুউদ্দীন নবাব ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়- শহরের মাস্টার কলোনীর বাসিন্দা আয়নালের ছেলে শাহিন (৩০) বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে টেপাখোলা মুজিব সড়কে বিসমিল্লাহ টাইলস্ এন্ড সেনেটারী দোকানে এসে এক বাকসো টাইল পছন্দ করে দোকান্দারের নিকট দাম জানতে চান। দোকানদার দাম বললে সে ঐ টাইলস্ নিতে চাইলে দোকান্দার মেমো কাটতে গেলে শাহিন বলে আমার কাছে না শুনে মেমো কাটতেছেন কেন? আমি টাকা দিবো কিনা বা কয় টাকা দিবো ইত্যাদি। এই নিয়ে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় শাহিন দোকান্দারকে গালীগালাজ করে চলে যায় এবং দোকানদার কে দেখায় দিবো বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়।
চলে যাওয়ার ২০ মিনিট পর শাহিন ও মাস্টার কলোনীর ছেকেনের ছেলে সুমন সহ আরো আঙ্গাত ৭/৮ জন ছেলেকে নিয়ে এসে লাঠি ও রড দিয়ে দোকানে ভাংচুর করে এবং দোকানী রাজার উপর হামলা করে গুরতর আহত করে। এ সময় হামলাকারীরা দোকান্দার রাজার গলার থাকা সোনার চেইন, মোবাইল, ক্যাশ বাক্স থেকে ডিডি করার জন্য রাখা ৪ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
এ সময় আশ পাশের দোকানীরা ছুঠে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক কোতয়ালী থানার এ এস আই রিজাউল হক ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন এবং দোকানদার রাজাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। রাজা এখন ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে চিকিৎসাধিন আছে।
এই ঘটনায় দোকানের মালিক রাজার ছোট ভাই জহিরুউদ্দীন নবাব কোতয়ালী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
হামলাকারীরা পলাতক থাকায় এবং তাদের মোবাইল নম্বর না পাওয়ায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতয়ালী থানার এএসআই মোঃ রিজাউল হক বলেন, এই ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো। তিনি বলেন খবর পেয়ে আমি তখনি ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিলাম।