স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ জুলাই মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মিরাজ হোসেনের পা বিচ্ছিন্ন করে নিয়ে যায় আপং কাজীর লোকজন। পরে মিরাজের ভাই কবির খাঁ বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। এতে আপাং কাজীসহ ৩৫ জনের নামে ও অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করা হয়। মামলার আসামিদের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
পরে কালকিনি থানা পুলিশ মামলার আসামিদের গ্রেফতার করার জন্য ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ১৪ ডিসেম্বর পা কাটা মামলার বাদীর চাচা একই এলাকার তিতাই খানের ছেলে লিয়াকত খানের দুই পা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ভেঙে দেয় আসামিরা। স্থানীয় লোকজন আহত কৃষককে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়।
উক্ত ঘটনার পর থেকেই উভয় পক্ষের লোকজনের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল। তারই জের ধরে শনিবার সকাল থেকে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আমপাং কাজি গ্রুপের শহিদুল কাজী, জাহাঙ্গীর বেপারী, সুমন তালুকদার, মিরাজুল কাজী সহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়।গোলাগুলি সহ বোমা বিস্ফোরন হওয়ায় পুরো এলাকায় থমথমে পরিবেশ তৈরি হওয়ায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়েছে।
কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা.আনিকা তাছনিম জানান, আমাদের এখানে বোমা হামলায় আহত কয়েকজন রোগী এসেছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেলে রেফার করা হয়েছে।
মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাইলাউ মারমা জানান, পিছনের একটি ঘটনা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, আমরা অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছি,তাছাড়া বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।