ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ আদালতে মামলা চলমান অবস্থায় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের হাট গোবিন্দপুর গ্রামের কালীতলা সড়ক সংলগ্ন তিন ফসলি কৃষি ফসলী জমিতে পুকুর খনন করে আসছিলেন শহরের গোয়ালচামটস্থ হেলিপোর্ট বাজারের বাসিন্দা আব্দুল আল মামুন।
এতে করে ওয়ারিশ সুত্রে জমির প্রকৃত মালিক হাট গোবিন্দপুর বাসিন্দা মৃত নিখিল মিত্র এর পুত্র বিশ্বনাথ মিত্র সহ আশেপাশের প্রতিবেশীরা বর্ষার পানিতে চরম দুর্ভোগের সম্মুখিন হওয়ার প্রত্যাশা করছিলেন। তবে খবর পেয়ে সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) লাভলী ইয়াসমিন ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে পুকুর খননের কাজ বন্ধ পুর্বক বেকুর ব্যাটারি জব্দ করেছেন। এছাড়াও উক্ত যায়গা থেকে পুনরায় কোন মাটি না কাটার বিষয়ে সতর্ক করেন এসিল্যান্ড।
জানা যায়, গত ১ মাস পুর্বে উক্ত জমিটি ক্রয় সুত্রে দাবি করে আব্দুল আল মামুন পুকুর তৈরির জন্য মাটি কেটে অন্যত্র বিক্রি করে আসছিল। তবে ওয়ারিশ সুত্রে জমির প্রকৃত মালিক বিশ্বনাথ মিত্র উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটন ঢালির দ্বারস্থ হলে তার নির্দেশে উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে ঐ জমির পুকুর খনন বন্ধ পুর্বক জমি নিয়ে মামলা চলমান থাকায় আব্দুল আল মামুনকে জমির কাছে না যাওয়ার জন্য সতর্ক করেন। এমনকি পুকুর খনন কাজে নিয়োজিত ভেকু ড্রাইভারদের পুনরায় এই যায়গায় পুকুর খনন হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করেন।
কিন্তু প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে গত শুক্রবার রাত থেকে পুনরায় পুকুর খনন করছিলেন আব্দুল আল মামুন। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হলে জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) লাভলী ইয়াসমিন ঘটনাস্থলে হাজির হন।
তবে এ সময় আব্দুল আল মামুনসহ তার সহযোগীরা পালিয়ে গেলেও পুকুর খননের কাজে ব্যবহৃত ভেকুর ব্যাটারী জব্দ করেন সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) লাভলী ইয়াসমিন।
এ বিষয়ে সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) লাভলী ইয়াসমিন জানান, কালিতলা বাজার সংলগ্ন ওয়ারিশ সুত্রে পাওয়া একটি জমির মাটি কেটে পুকুর তৈরির খবর পেয়ে আমরা ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালোনা করি। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকালে ঘটনার সত্যতা পেলেও জড়িতদের কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে পুকুর তৈরি কাজে ব্যবহৃত ভেকুর ব্যাটারী আমরা জব্দ করেছি।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, আব্দুল আল মামুন ও তার বাহিনীর সদস্যরা লাঠি সোটা নিয়ে জমির পাশে বসে থেকে পুকুর খননের কাজ কারছিলেন। এ বিষয়ে স্থানীয় কেউ কোন কথা বললেই তাকে ভয়ভীতি দেখিয়েছেন। এমনকি মিডিয়ার কর্মীরাও আসলে খবর প্রকাশ না করার জন্য তাদের নানা ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তারা আরো জানান পুকুর খনন দস্যু প্রভাবশালী আব্দুল আল মামুন, ঐ জমির জাল উইল সৃষ্টি করে ক্রয় সুত্র দাবি করছিলেন। এদিকে এই জাল উইলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা চলমান থাকার পরেও নিজের ব্যাক্তি প্রভাব খাটিয়ে পুকুর খননের কাজ করিছিলেন তিনি। তবে ভেকু মেশিন দিয়ে ফসলি জমির মাটি কাটায় জমির উর্বরতা শক্তি নষ্ট হচ্ছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। এছাড়াও ফসলি জমি কেটে পুকুর তৈরি করলে কৃষি কাজ বিনষ্ট হবে। একই সাথে ঐ জমি সংলগ্ন রাস্তাটিও নষ্ট হবে বলে তারা অভিযোগে জানান।