রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ রাজবাড়ীতে কালুখালী উপজেলায় রতনদিয়া ইউনিয়নের কেষ্টনগর বাজারের ব্যবসায়ী বেলাল শিহরি ও তার পরিবারের সদস্যদের দারা অস্ত্রের জখমে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে শয্যাশায়ী পার্শ্ববর্তী চন্দনী ইউনিয়নের বাবুপুর গ্রামের দরিদ্র সন্তান কাশেম শেখ ও তার সহযোগি সাচ্চু, শফিকুল, সজল ও স্থানীয় আলিম।
অভিযোগ এর ভিত্তিতে অনুসন্ধানের স্বার্থে রতনদিয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত হরিনবারিয়ার চরের পার্শ্ববর্তী গ্রাম কেষ্টনগর বাজারে গিয়ে সরেজমিনে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, স্থানীয় বেলাল শিহরির বাড়িতে মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতো কাসেম শেখ ও সহযোগি বাচ্চু, সজল সহ কয়েকজন।
দীর্ঘদিন কাজ করার কারণে তাদের ভেতরে টাকা-পয়সার লেনদেনে সমস্যা দেখা যায়। পরবর্তীতে কাসেম শেখ সেই পাওনা টাকা বিল্লাল শিহরির কাছে চাইলে তার বড় ছেলে ফারুক শিহরি ও ছোট ছেলে আহাদ শিহরি তাহার সাথে তর্কে লিপ্ত হয়, পরবর্তিতে তারা টাকা পয়সা না দেবার বাহানায়, অভিযোগ তুলে যে কাশেম শেখ এর সহযোগী সজল তার মেয়ের সঙ্গে কথা বলে।
এই অভিযোগ করিয়া তারা কাশেম শেখ, সহযোগী সজল শফিকুল এর সাথে খারাপ ব্যবহার করে ও তাদের বিষয়ে গ্রাম্য সালিশ ডাকেন সাবেক মেম্বার কুদ্দুস এর বাড়িতে।
এসময় স্থানীয়রা বলেন, সালিশ চলাকালীন সময়ে বিল্লাল শিহরির ছেলে আহাদ, ফারুক, শরিফুল তাদেরকে কয়েকবার মারধোর করে, পরবর্তীতে স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে স্থানীয় দোকানদার ও মাছ আড়তদার মিন্টু মিয়া বলেন যে, কাশেম শেখ সালিশের পরে সন্ধ্যা লেগে যাওয়ায় তাকে কল দিয়ে ভয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করে এবং তাকে সহযোগিতা করতে অনুরোধ করায় আমি আমার খালাতো ভাই আলীমকে দিয়ে তাদের এগিয়ে দেওয়ার জন্য গাড়িতে পাঠাই।
কিছুক্ষণ পরে খবর পাই যে, আহাদ, শরিফুল সহ কয়েকজন ওদেরকে বেদম মারধোর করে রক্তাত অবস্থায় বিল্লাল সেহেরির বাড়ির কাছাকাছি মোড়ের উপরে ফেলে রেখেছে। আমি দ্রুত গাড়ি নিয়ে যাই এবং হাসপাতালে পৌঁছে দিই। সে সময়ে কাশেমের অবস্থা মারাত্মক ছিল এবং তার মুখ দিয়ে ফুপরি বের হচ্ছিল এবং আমি খুব ভয় পেয়ে যাই ও কাশেমের বাড়ির লোকজনকে খবর দিতে বলি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় মাতব্বর সমরেশ মন্ডল বলেন যে আমি শুনেছি বেলালের ছেলেসহ কয়েকজন কাশেম মিস্ত্রিদের খুব মেরে হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
পরদিন আমি তাকে দেখতে হাসপাতালে যাই ও দেখি যে সে ঠিকভাবে কথা বলতে পারছে না। আজকে যারা কাশেম কে মেরেছে এসব ছেলেপেলে খুবই খারাপ হয়ে গেছে, এদের সঠিক বিচার হওয়া উচিত।
এ বিষয়ে বেলাল শিহরি বলেন, কাশেম মিস্ত্রি একটা ভালো ছেলে। আমার ছেলে অন্যায় করেছে, এ ব্যাপারে মাতব্বররা যা বিচার করবে আমি তাই মেনে নেব। এব্যাপারে কাশেম মিস্ত্রি বলেন যে, আমি তাদের কাছে যে টাকা পাবো তা না দেবার জন্য তারা আমাকে প্রানে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে। এগুলো আমার সৎ পরিশ্রমের টাকা, তাই আল্লাহ আমায় বাঁচায় রাখছেন।