খন্দকার আব্দুল্লাহঃ গত দেড় মাসের মতো ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের চতুল বোর্ড অফিস এলাকা ও চতুল ইউনিয়নের চতুল, শুকদেবনগর এবং ধুলপুকুরিয়ায় দেড় মাসের মতো বিদ্যুৎ থাকে না বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, ৮নং পৌরসভার চতুল আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশ দিয়ে প্রায় দেড় মাস যাবৎ আগের খুঁটির থেকে মাত্র এক দেড় ফিট উঁচু করে নতুন বিদ্যুতের খুঁটি স্থাপন করছেন পল্লী বিদ্যুৎ।
এর আগে মাইকিং করে বলেছিল চলতি মাসের ৩ থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত সকাল ৭টা হতে বেলা ১ পর্যন্ত লাইন রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
কিন্তু এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রতিদিন সকাল সাড়ে ছয়টা -সাতটার সময় বিদ্যুৎ যায় আর আসে বেলা ২টা ৩টার দিকে। এই রমজানে প্রতিদিন বিদ্যুৎ না থাকার কারণে অনেকেই রোজা রেখে গরমে ডায়রিয়াসহ নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
তারপর আকাশে একটু মেঘের দৌড়ঝাঁপ দেখলে বিদ্যুতের হাসি দেখে কে! সে যেন ঘোমটা মুড়ি দিয়ে বসে থাকে যে, কে আর পায় আমাকে! এতে টিভি, ফ্রিজ, পানির মটরসহ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ইলেকট্রনিক সামগ্রী।
পৌরসভার চতুল অংশের এনজিও কর্মী মনিরুল ইসলাম বলেন, সকালে বিদ্যুৎ যায় আর আসে প্রায় বিকেলে। তাও আবার রাতে আসা যাওয়া করে কিন্তু এই বিদ্যুতের ভেলকিবাজি দেখার মত কোন নেতাও মনে হয় বোয়ালমারীতে নেই!
ধুলপুকুরিয়ার গনেশ ঠাকুর বলেন, বিদ্যুতের এমন নাজুক পরিস্থিতি যা বলে শেষ করতে পারবনা। তবে আগের ডিজিএম থাকতে বিদ্যুৎ ভালোই থাকত।
চতুলের বিলকিস করিম বলেন, বিদ্যুৎ ঠিকমতো না থাকার কারণে, আমার ফ্রিজের প্রায় ১০ হাজার টাকার জিনিস নষ্ট হয়ে গেছে।
বোয়ালমারী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম বলেন, ঠিকাদারকে ডেকে শুনেছি তারা আরোও ৩/৪ দিন লাগবে বলেছে কিন্তু তাদের কথার সাথে মিল না থাকলে কাজ বন্ধ থাকবে। ঈদের পরে আবার কাজ করবে। এ লাইন মেরামত হলে আমরা নিরবচ্ছিন্ন ভাবে বিদ্যুৎ দিতে পারব বলে আশা রাখি।