নওগাঁয় এখনও পশুর হাট জমেনি। ঢিলে ঢালা পশুর হাট শুরু হয়েছে। বেঁচাকেনা এখনো জমেনি পশুর হাট। হাটে পশুর আমদানি হলেও নেই ব্যবসায়ী ও ক্রেতা। তুলনামুলক কম দাম হলেও মাঝারি ও ছোট গরুর চাহিদা রয়েছে বেশি।
জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্যমতে, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে এ বছর জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে ২০ হাজার ৪০২টি খামারে দেশীয়, অস্ট্রেলিয়ান, ফ্রিজিয়ান ও সিন্ধি জাতের প্রায় ৪ লাখ ৩৩ হাজার ৭৩টি গবাদিপশু লালনপালন করা হয়েছে। আর জেলায় চাহিদা রয়েছে প্রায় ৩ লাখ ৯৫ হাজার। উদ্বৃত্ত পশু ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করবেন। জেলায় ২৮টি স্থায়ী পশুর হাট রয়েছে।
জেলার অন্যতম বড় পশুর হাটগুলোর মধ্যে নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার ছাতড়া হাট সপ্তাহে একবার সোমবার, ও রানীনগর উপজেলার আবাদপুকুর হাট। সপ্তাহে দু’দিন বুধ ও রোববার হাটবার। পশুর হাটে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামথেকে আসা অস্ট্রেলিয়ান জাতের ষাঁড় নিয়ে এসেছিলেন বিক্রেতারা এ গরুটি বাজারে সবচেয়ে বড়।
আবহাওয়া কিছুটা উষ্ণ থাকায় গরুর মালিক মাঝে মধ্যে শরীর ও মাথায় পানি ঢেলে ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করছিলেন। গরুটির কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় সন্ধ্যায় ফেরত নেওয়া হয়েছে। তবে গরুটি একনজর দেখার জন্য ভিড় করেন হাটে আসা মানুষ। ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বড় ব্যবসায়ীরা এখনও আসছেন না। তবে শেষ হাটে পশুর দাম বেড়ে যেতে পারে। বড় গরুর তুলনায় মাঝারি ও ছোট গরুর চাহিদা রয়েছে।