রাসেল, ফরিদপুর
ফরিদপুর সদর উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ধোপাডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ে দুর্বৃত্তদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত এক ছাত্র আহত হয়েছে। চিকিৎসা নেয়ার পর তিনি বর্তমানে বাড়িতেই আছেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ২৪ জানুয়ারি শনিবার সকাল ১১ টার দিকে শিক্ষকদের মিটিং চলাকালীন বিদ্যালয়ের ভিতরে ঢুকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত বিদ্যালয়ের ছাত্রদের মারপিট করছে। খবর পেয়ে শিক্ষকগণ এসে মারামারি বন্ধ করেন এবং বহিরাগত পাঁচজনকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পাঁচজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইমরুল কবির জানান, সকাল ১১ টার দিকে আমি শিক্ষকদের নিয়ে মিটিং করছিলাম। এ সময় শোরগোল শুনে বের হয়ে দেখি মারামারি হচ্ছে। আমরা সকলে মিলে মারামারি বন্ধ করে দিই। কিছুক্ষণ পর আবারও শোরগোল শুনতে পাই। গিয়ে দেখি ওরাই আবার আরও লোকজন নিয়ে ছাত্রদের মারছে। এসময় আমরা মারামারি থামাই এবং বহিরাগত পাঁচজনকে আটক করে পুলিশে খবর দিই। পুলিশ আসতে দেরি হওয়ায় আমি ইউএনও স্যারকে জানাই। তারপর পুলিশ এসে আটকে রাখা পাঁচজনকে হাতকড়া পড়িয়ে নিয়ে যায়। কিন্তু পুলিশ আমাদের কাছে কোন বিষয়ে কিছু জানতে চায়নি। পরে জানতে পারি বহিরাগত এই ছেলেদের মধ্যে একজন বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর সাথে কথা বলতে এসেছিল। তাতে বাঁধা দেওয়ায় এই ঘটনা ঘটে। আটক হওয়া পাঁচজনের বাড়িই চরচাঁদপুর গ্রামে। এরা হলো মানিক শেখের পুত্র তুহিন শেখ, সাত্তার শেখের পুত্র নাছির শেখ, আলিম শেখের পুত্র সোহেল শেখ, সেলিম শেখের পুত্র নাঈম শেখ ও মোজা মোল্লার পুত্র সাগর মোল্লা।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মাসুদ পারভেজের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি ঢাকাতে আছি। ঘটনাটি শুনেছি। আমি এলাকায় এসে এদের অভিভাবকের সাথে কথা বলে সংশোধনের একটা সুযোগ দিবো। যেহেতু সকলেই ছাত্র তাদের সংশোধনের সুযোগ দিতে হবে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি (অপারেশন) মোঃ আব্দুল গফফার জানান, ঘটনা জানার পর পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে নিয়ে এসেছে। স্কুলের শিক্ষকদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।