ফরিদপুর প্রতিনিধি: আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য ফরিদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ফারুক হোসেকে বিজয়ী করার লক্ষে সালথা উপজেলার সকল জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শামীম হক।
সভায় বক্তব্যকালে উপস্থিত জনপ্রতিধিদের কাছে ভোট চেয়ে কেঁেদ দেন ফরিদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী সাবেক যুবলীগ নেতা ফারুক হোসেন। ভোটাদের উদ্দেশ্য করে কান্না জড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে একটা উপহার (আওয়ামী লীগের মনোনয়ন) দিয়েছেন। আমি সেই উপহার মাথায় করে রাখবো। আপনারা আমাকে এই বৃদ্ধ বয়সে ফেলে দিয়েন না। এবার আমার যদি কিছু হয়ে যায় (হেরে যাই) তাহলে সত্যি সত্যি আমি বাঁচবো না। আপনাদের কাছে ওয়াদা করছি- আমি জীবনভর আপনাদের পাশে থাকবো।
তিনি আরও বলেন, আমি বিনিতভাবে বলতে চাই, আপনাদের ভোটটি দয়া করে আমাকে দিবেন। আমি মনে করি, আমি এই চেয়ারের যোগ্য। যেটুকু লেখাপড়ার দরকার, বিনিয়ের দরকার ও শিষ্টাচারের দরকার তা আমার আছে, আমি যোগ্য।
সালথা উপজেলার আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো. ফারুকুজ্জামান ফকির মিয়ার সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, প্রয়াত সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ছেলে শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরী, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো. ইশতিয়াক আরিফ, সাবেক সাধারন সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ, জেলা আওয়ামী লীগ নেত্রী ঝর্ণা হাসান, আইভি মাসুদ, সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক শহিদুল হাসান খান সোহাগ, সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী সাব্বির আলী, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি খায়রুজ্জামান বাবু, গট্টি ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লাবলু প্রমুখ। সভায় সালথা উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানসহ ৮টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ফারুক হোসেনকে ভোট দেওয়ার আহŸান জানিয়ে বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আসবে। পাঁচবারের মত আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে বিশে^ তাক লাগিয়ে দিবে। জাতীয় নির্বাচনের আগে জেলা পরিষদ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে হবে। নির্বাচনে হেরে গেলে এর প্রভাব জাতীয় নির্বাচনে পড়তে পারে।
উল্লেখ্য, আগামী ১৭ অক্টোবর ফরিদপুর জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত ২২ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষদিন পর্যন্ত চেয়ারম্যান পদে চারজন, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১২ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৪৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পান সাবেক ছাত্র নেতা ফারুক হোসেন।