।বিশেষ প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জ জেলায় জিংক সমৃদ্ধ ধানের ব্যাপক আবাদ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ফলনও হয়েছে বাম্পার। কৃষকের মুখে ফুটেছে হাঁসি। যেকারণে আগ্রহ বাড়ছে এই ধান চাষের। মানুষের শরীরের জিংকের ঘাটতি পূরণে এ ধান বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে- বেসরকারী সংস্থা হারভেস্ট প্লাস বাংলাদেশের সহযোগিতায় সোসাইটি ডেভেলপমেন্ট কমিটির (এসডিসি) বাস্তবায়নে কমার্সিয়ালাইজেশন অব বায়োফর্টিফাইড ক্রপস (সিবিসি) প্রকল্পের মাধ্যমে বীজ বিক্রেতা ও কৃষকদের উদ্ভুদ্ধ করে জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধান-৭৪ ও ব্রি ধান- ৮৪ এর ব্যাপক চাষাবাদ করা হয়েছে।
একাধিক কৃষক জানান- এই ধান চাষ করে তারা খুব ভালো ফলন পেয়েছেন। বিভিন্ন রাইস মিলে অন্যান্য জাতের ধানের তুলনায় এ ধানের চাহিদা বেশি। তাই এ ধান বিক্রি করে তারা ব্যাপক লাভবান হচ্ছেন।
ধান ব্যবসায়ী মতিয়ার রহমান বলেন- কৃষকের কাছ থেকে আমরা সকল জাতের ধানের সাথে জিংক সমৃদ্ধ বিশেষ ধানও ক্রয় করছি। এসব ধান সম্পূর্ন আলাদা ভাবে সংরক্ষন করে নির্ধারিত কিছু রাইস ও চিড়ার মিলে পাঠাচ্ছি। মিল কতৃপক্ষ এই ধান দিয়ে জিংক চাউল ও জিংক চিড়া তৈরী করে বাজারজাত করছেন।
প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট এসডিসির একজন কর্মকর্তা বলেন- জিংক প্রতিটা মানুষের শরীরে প্রয়োজন। বেশির ভাগ মানুষের শরীরে জিংকের ঘাটতি রয়েছে। বিশেষ করে মহিলা ও শিশুদের শরীরে এর ঘাটতি বেশি। মানুষের শরীরের জিংকের ঘাটতি পূরণে জিংক সমৃদ্ধ ধান বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে আমরা মনে করছি। আমরা এই জিংক সমৃদ্ধ ধান চাষাবাদ বৃদ্ধি ও জিংক চাউল বাজারজাতকরণে কাজ করছি। মানুষকে জিংক চাউল খাওয়ার ব্যাপারে উৎসাহিত করছি।