নিজস্ব প্রতিবেদকঃ স্বামীর একটু ভালোবাসা পেতে বাপের বাড়ির টাকায় স্বামীকে বিদেশ পাঠিয়ে দুঃখের সাগরে স্ত্রী শিউলি। ছয় বছরের সন্তানও পিতার ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত।
ফরিদপুর নগরকান্দা উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের উত্তর গোপিনাথপুর গ্রামের দুলাল শেখের মেয়ে শিউলি আক্তার (২২) এর সাথে বিগত ২০১৫ সালে বিয়ে হয় কোতয়ালী থানার ফরিদপুর পৌরসভার ফরিদাবাদ গ্রামের মোঃ সাজাহান সেকের ছেলে মোঃ ইমদাদ সেক(২৮)।
মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে পিতা দুলাল শেখ বিয়ের সময় প্রায় দুই লক্ষ টাকার উপটকন দেই জামাইকে।
এই প্রতিবেদককে শিউলি আক্তার জানান, বিয়ের কিছুদিন পর স্বামী ইমদাদ আমাকে বাবার বাড়ী থেকে যৌতুক হিসেবে তিন লক্ষ টাকা এনে দিতে বলে।
আমি এই টাকা আনিয়া দিতে অস্বীকার করলে স্বামীসহ স্বামীর বাড়ির লোক জন আমার উপর নানা ভাবে নির্যাতন করে। এর মধ্যে আমার কোল জুড়ে শেখ জুবায়ের নামে এক পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহন করেন। যার বয়স এখন ৬ বছর।
যৌতুকের জন্য স্বামীর বাড়ি থেকে আমাকে এক বসতের বাড়ি থেকে বের করে বাপের বাড়ি পাঠাই দেই। বিয়ের কিছুদিন পর বাবা মারা যাওয়াই ভাইয়ের আশ্রইয়ে থাকি। এরপর এলাকার লোকজন সালিশ করে আবার স্বামীর বাড়ি পাঠাই। এরপর স্বামী বিদেশ যাবে আমাকে টাকার চাপ দেই। স্বামীর একটু ভালোবাসা ও সন্তানের সুখের কথা চিন্তা করে আমার ভাইয়ের কাছ থেকে টাকা এনে তাকে বিদেশ পাঠাই।
যে সুখের জন্য নিজের টাকায় তাকে বিদেশ পাঠালাম, সে সুখ আর আমার কপালে জুটছে না। আমার সন্তানও পাচ্ছে না পিতার ভালো বাসা। কারন বিদেশ যাওয়ার পর আমার স্বামী আমার ও সন্তানের কোন খোজ খবর রাখে না। আমি অনেক যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কোন লাভ হয়নি। কিছুদিন আগে সে বিদেশ থেকে দেশে আসলে আমি তার বাড়িতে গেলে বাড়ির লোকজন ঘড়ের তালা মেরে চলে যায়। এরপর এলাকার লোকজনকে আবার সালিশ করে আমার স্বামীর বাড়িতে পাঠায়। আমি স্বামী বাড়ি ৯দিন ছিলাম। এই ৯দিন আমার স্বামি বাড়ি আসেনি এবং আমার সাথে কোন যোগাযোগ রাখিনি।
এদিকে একটি মেয়ে আমাকে ফোন করে বলে আমার স্বামীর সাথে তার বিয়ে হয়েছে। আমাকে স্বামীর বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলে। এলাকাবাসি মুখেও শুনছি সে আরাকটি বিয়ে করেছে। আমার টাকায় বিদেশ যেয়ে এখন আমার খোজ রাখে না এবং সন্তানের খবরও রাখে না। আমি এখন এই সন্তান নিয়ে কোথায় যাবো।