সরকারি খাদ্য গুদামে এখন প্রায় ২০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ আছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। চালের বাজারে ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে চান বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।
আজ সোমবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদ হল রুমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তহবিল থেকে ১৮ জন দরিদ্র ব্যক্তির মধ্যে চিকিৎসা সহায়তার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এই কথা বলেন।
সরকার ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে চায় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ভোক্তাদের স্বস্তি দিতেই আমরা ১ সেপ্টেম্বর থেকে ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব চালু করতে যাচ্ছি। এছাড়াও আউশ ধান বাজারে আসতে শুরু করায় দামও কমতে শুরু করেছে চালের।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, কৃষক এখন আমন চাষে ব্যস্ত। আমন ধানের চাষাবাদ বৃষ্টির ওপর নির্ভরশীল। উৎপাদন কতটুকু হবে তা প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে। সে কারণে আমরা সতর্কতা হিসেবে ভারত, মিয়ানমার, ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ড থেকে জিটুজি পদ্ধতিতে চাল আমদানির কাজ শুরু করেছি। সেপ্টেম্বর থেকে এ চাল দেশে আসতে শুরু করবে।
এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফারুক সুফিয়ানের সভাপতিত্বে উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদ আহম্মেদ, ভাইস চেয়ারম্যান আইউব হোসাইন মন্ডল ও ভাইস চেয়ারম্যান নাদিরা বেগম বক্তব্য দেন।
পরে মন্ত্রী ১৮ জনের মাঝে আট লাখ ৮০ হাজার টাকার অনুদানের চেক তুলে দেন।
এছাড়াও খাদ্যমন্ত্রীর স্বেচ্ছাধীন তহবিল থেকে ১২টি মসজিদ ও মন্দিরের মধ্যে দুই লাখ ১৬ হাজার টাকা এবং তিন ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকার চেক বিতরণ, এডিপির অর্থায়নে ৫০টি মসজিদে লাশবাহী খাটিয়া বিতরণ এবং উপকার ভোগীদের মাঝে ১৬০টি সেলাই মেশিন বিতরণ, উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ও ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়।
এর আগে মন্ত্রী নিয়ামতপুর প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মোবাইল ভেটোনারি ক্লিনিক উদ্বোধনের সময় গাড়ির চাবি হস্তান্তর করেন।
আজকের কন্ঠ
নওগাঁ