নুরুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধি: ফরিদপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা এলেম শেখের (৭৭) বাড়িতে হামলার মামলাসহ ছয়টি মামলায় চার মাস কারাবাসের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন সালথা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতুব্বর (৪০)।
রোববার (১৩ নভেম্বর) দুপুর দুইটার দিকে তিনি ফরিদপুর জেলা কারাগার থেকে বের হন। হাইকোর্ট থেকে গত বুধবার (৯ নভেম্বর) তিনি জামিনের আদেশ পান। ওয়াদুদ মাতুব্বর গট্টি ইউনিয়নের কাঠিয়া গট্টি গ্রামের হোসেন মাতুব্বরের ছেলে। তিনি গট্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ৯ জুলাই মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে হামলার ঘটনায় ওই মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী জয়গুন বেগম বাদী হয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ ৩৬জনকে আসামি করে এ মামলাটি দায়ের করেন সালথা থানায়। এর মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যানকে হুকুমের আসামি করা হয়। ওই মামলায় গত ১৩ জুলাই ফরিদপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের ৬ নম্বর আমলি আদালতে ওয়াদুদসহ ৩৩জন আসামি হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালতের বিচারক তরুণ বাছাড় উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বরসহ ১০ জন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এরপর ওয়াদুদ মাতুব্বর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে আরও চারটি মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়াও গত ২০২১ সালের ৫ এপ্রিল সালথার আলোচিত থানা ও উপজেলা কমপ্লেক্স ভবনে সহিংস তাণ্ডব মামলা চার্জশিটভুক্ত আসামি ওয়াদুদ মাতুব্বর। বিগত দিনগুলোতে বিভিন্ন মামলায় কয়েক দফা ফরিদপুর জজ আদালত ও হাইকোর্টে জামিন আবেদন করলেও জামিন পাননি তিনি। অবশেষে গত বুধবার (৯ নভেম্বর) হাইকোর্ট তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। রোববার (১৩ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে তিনি ফরিদপুর জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান।
মো. ওয়াদুদ মাতুব্বরের আইনজীবী মো. ইব্রাহিম হোসেন বলেন, জজ কোর্ট ও হাইকোর্ট কয়েক দফা তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করলেও গত ৯ নভেম্বর হাইকোটের একটি বেঞ্চ ওয়াদুদ মাতুব্বরের অন্তবর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন।
তিনি আরও বলেন, সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতুব্বরের বিরুদ্ধে মোট ৬টি মামলা দায়ের করা হয়। তার সবকটিতে তিনি জেলা জজ আদালতের জামিনে ছিলেন। গত ২০২১ সালের ৫ এপ্রিল সালথার আলোচিত থানা ও উপজেলা কমপ্লেক্স ভবনে সহিংস তাণ্ডব মামলায় জজ কোর্ট থেকে তিনি জামিন পাননি। অবশেষে গত ৯ নভেম্বর হার্ইকোর্ট থেকে তিনি ছয় মাসের অন্তবর্তীকালীর জামিন পান।