বার্তা ডেস্কঃ পাঁচ দিনে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের হাতে মিয়ানমারের ৯০ সেনা নিহত হয়েছে। এ সময় উভয়পক্ষের সংঘর্ষে প্রাণ গেছে চার প্রতিরোধ যোদ্ধার।
মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইরাবতি স্থানীয় কয়েকটি প্রতিরোধ গোষ্ঠীর বরাতে হতাহতের খবর দিয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, গত ক’দিনে সাগাইং ও ম্যাগওয়ে অঞ্চলে জান্তাবিরোধী বাহিনী পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেসের (পিডিএফ) সাথে তীব্র লড়াই হয়েছে।
সাগাইং অঞ্চলের মাইনমুর একটি গ্রামের কাছে গত বৃহস্পতিবার মেশিনগানে সজ্জিত দু’টি সামরিক যানবাহনে অতর্কিত হামলা চালাতে চারটি মাইন ব্যবহার করেছে জান্তা প্রতিরোধ যোদ্ধারা। মাইনমুতে পিপলস গেরিলা কমান্ডো (পিজিসি) এর তথ্যমতে, সেনাবাহিনীর ওপর অতর্কিত হামলা করলে ছিটকে পড়ে তারা। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। তবে ইরাবতি স্বাধানীভাবে এর সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি।
সামরিক বহরে অন্য একটি হামলায় ২০ সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে পিজিসি। মাইন ব্যবহার করে বহরে হামলা করা হয়েছে। এতে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেনাবাহিনীর। এ দিকে গত বুধবার সকালে মনিওয়া-আয়ারদাউ হাইওয়েতে পিডিএফের অতর্কিত হামলায় সাত সেনা নিহত হয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিরোধ যোদ্ধা কো দাউং হমান বলেন, ‘আমরা আমাদের জীবন রক্ষা, সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে এবং আমাদের জনগণের জন্য লড়াই করছি।
গতবছর ১ ফেব্রুয়ারি সু চি সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা বসে সামরিক সরকার। এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে দেশটির লাখ লাখ বেসামরিক নাগরিক। সরকারবিরোধী আন্দোলনে কয়েক হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। ছোট ছোট সশস্ত্র গোষ্ঠী লড়াই করছে সেনাদের বিরুদ্ধে।