তাওহিদুল ইসলাম: ফরিদপুরে একটি এগ্রোফার্ম থেকে শান্তা আক্তার নামে এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার সকালে ফরিদপুর সদরের অম্বিকাপুর ইউনিয়নের দ্বিরাজতুল্লাহ ডাঙ্গী গ্রামের এমবিআই এগ্রোফার্মের একটি কক্ষ থেকে ঐ গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে ফরিদপুর কোতয়ালী থানা পুলিশ। এ ঘটনায় তার স্বামী আছাদুজ্জামান বাচ্চু পালিয়ে গেছে বলে ফার্মের মালিক পক্ষ জানায়।
নিহত গৃহবধু ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার মথুরাপুর ভাটিকান্দি গ্রামের মৃত মতিয়ার শেখের কন্যা, এবং রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ ঘাট এলাকার কামুদ্দিন পাড়ার আব্দুস ছত্তার শেখের পুত্র আছাদুজ্জামান বাচ্চুর স্ত্রী।
ঘটনা শুনে ছুটে আসেন ঐ গৃহবধুর মা জরিনা বেগম এ সময় তিনি কান্নাজড়িত কন্ঠে দৈনিক খবর বাংলাদেশকে বলেন, অনেক কষ্ট করে ছেলে-মেয়েদের বড় করেছি। মাত্র ৪ মাস আগে আমার মেয়ের বিয়ে হয় বাচ্চুর সাথে। বিয়ের পরে স্বামীর সাথে এখানে থাকতেন। আজ সকালে শুনেছি, মেয়ের সমস্যা হয়েছে। ছুটে এসে শুনলাম আমার মেয়েকে ওর স্বামী মেরে পালিয়ে গেছে। কি কারনে আমার মেয়েকে মেরে ফেললো আমি জানি না। আমি বাচ্চুর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, এমবিআই এগ্রোফার্মের মালিক পক্ষ চার জন। তারা হলো- ইসমাঈল হোসেন মাসুদ, মুকুল, মনির ও ইদ্রিস শেখ। ফার্মটি মাসুদ ও মনির দেখা শুনা করতো। বাচ্চু ফার্মটিতে সুপার ভাইজার হিসেবে কাজ করতো।
এ সময় ইসমাঈল হোসেন মাসুদ জানান, গত ১৫ই সেপ্টেম্বর বাচ্চু কাজে যোগদান করেন। এর এক সপ্তাহ পরে ২২ সেপ্টেম্বর তার স্ত্রীকে নিয়ে আসে। তারা ফার্মের ভেতরে একটি কক্ষে থাকতেন। রাতেও ফার্ম দেখাশুনা করতো বাচ্চু। আজ সকালে জানতে পারলাম ঐ রুমে বাচ্চুর স্ত্রীর লাশ পড়ে আছে এবং বাইরে তালা লাগিয়ে বাচ্চু পালিয়ে গেছে। তবে, কি কারনে তাকে মেরে ফেললো আমরা জানিনা। পরে আমরা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করি।
এ বিষয়ে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন কর বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে এটি পয়জনিং কেস। শরীরে কোনো আঘাত নেই, মুখ ফুলে আছে এবং প্রচুর পরিমাণে ফেনা রয়েছে। আমরা পোস্টমের্টাম করতে পারলে জানতে পারবো, পুরো ঘটনাটি কি হয়েছে। লাশের বিষয়ে আমাদের তদন্ত চলমান থাকবে।
তবে, স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলোহ ছিলো। স্বামী-স্ত্রীর কলোহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে কি-না বা অন্যকোনো কারন আছে কি-না আমরা খতিয়ে দেখবো।