ষ্টাফ রিপোর্টারঃ মহামান্য উচ্চ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে রাজবাড়ী সদরের আহলাদীপুর হাইওয়ে থানার আওতাধীন মহাসড়কে বেপরোয়া মাসিক চুক্তির থ্রী-হুইলার।
বিভিন্ন সুত্রে জানা যায় দীর্ঘদিন যাবত কিছু নামধারী কথিত সাংবাদিক সহ বিভিন্ন নামে বেনামে প্রায় ৫০-৬০ টি থ্রী-হুইলার যেমন মাহিন্দ্র, নসিমন, ইজিবাইক মাসিক ১৫ শত থেকে ২ হাজার টাকার বিনিময়ে চাদাবাজির ভিত্তিতে মহাসড়কের আইনের তোয়াক্কা না করে বেপয়োরা ভাবে চলাচল করছে থ্রী-হুইলারগুলো।
বিভিন্ন বাইপাস সড়ক থাকা সত্বেও টাকার বিনিময়ে মহাসড়ক দখল করে রেখেছে মাসিক চুক্তির থ্রী- হুইলারগুলো। কয়েকমাসের অনুসন্ধানে সরেজমিনে দেখাযায় বসন্তপুর সাইনবোর্ড হইতে গোয়ালন্দ মোড়, রাজবাড়ী হইতে গোয়ালন্দ মোড়, গোয়ালন্দ মোড় হইতে দৌলতদিয়া ঘাট পর্যন্ত নিজেদের ইচ্ছা মত চলছে থ্রী-হুইলার। মাসিক চুক্তিকে মহাসড়কে থ্রী- হুইলার চলাচলের কারনে এক দিকে যেমন থাকছে যাত্রীদের জীবনের ঝুকি অন্যদিকে আইন অবমাননা। সামনে আসন্ন ঈদ উপলক্ষে মহাসড়কে এই থ্রী- হুইলার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে মহাসড়কে থ্রী- হুইলার বন্ধে নামে মাত্র অভিযান করে থাকেন আহলাদীপুর হাইওয়ে থানা।
স্থানীয় থ্রী- হুইলার চালকদের একটি অংশ গত কিছদিন আগে দাবী করেন গোয়ালন্দ মোড়ে কোন মাসিক থ্রী- হুইলার চলতে দেয়া হবে না। পুলিশ আমাদের মামলা দেবে আর মাসিক থ্রী- হুইলার চলবে তা আমরা মেনে নেবো না। সুবিধা ভোগ করলে সবাই করবো এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
এ ব্যপারে মোবাইল ফোনে আহলাদীপুর হাইওয়ে থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন বলেন, মাসিক চুক্তিতে মহাসড়কে থ্রী- হুইলার চলে এটা আমার জানা নাই। তবে এ ব্যপারে একান্ত সাক্ষাতকারে মাদারীপুর রিজিয়নাল হাইওয়ে পুলিশ হামিদুল আলম বলেন, মহাসড়কে কোন প্রকার থ্রী-হুইলার চলবে না। যদি কেউ এ কাজ করে প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে, সে হোক পুলিশ, সাংবাদিক বা দালাল।