খন্দকার আব্দুল্লাহ: ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানজিলা কবির ত্রপা বলেন, অগ্নিকান্ডের খবর শোনা মাত্রই আমি ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছি এবং ফায়ার সার্ভিসে খবর দিয়ে ফায়ার কর্মীদের দ্রুত কাজে লাগাতে সক্ষম হয়েছি। এ তৎপরতায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড থেকে রক্ষা পেয়েছে গ্রামের শতাধিক পরিবারের জান-মাল এবং একটি গ্রাম।
মঙ্গলবার (১ মার্চ) দুপুরে উপজেলা সদরের বালিয়াডাঙ্গী (মুসলিম) গ্রামের বেড়িবাঁধ সড়ক ঘেঁষে আজম ঠাকুরের ছেলে জৈনদ্দিন ঠাকুরের বসতবাড়ির খড়ের গাদায় আকস্মিক এ অগ্নিকান্ড ঘটে। এলাকাবাসী আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে মুঠোফোনে ইউএনওকে অবগত করে।
খবর শুনে ইউএনও ঘটনাস্থলে দ্রুত ছুটে গিয়ে চরভদ্রাসন ফায়ার সার্ভিস দলকে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে লাগান এবং এলাকাবাসীকে সহায়তা করার নির্দেশ দেন। এতে মাত্র আধা ঘণ্টার ব্যবধানে গ্রামটি ভয়াবহ অগ্নিকান্ড থেকে রক্ষা পায় বলে স্বস্তি প্রকাশ করেন স্থানীয়রা।
ওই এলাকার ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো. বাবুল মোল্যা জানান, চলতি শুষ্ক মৌসুমের ভরদুপুরে উক্ত গ্রামের খড়ের গাদায় যেভাবে অগ্নিকান্ড ঘটেছিল তা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনেত না পারলে জান ও মালের ক্ষতির পরিমাণ ভয়াবহ হতে পারতো। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার কারণে ফায়ার সার্ভিস দলকে দ্রুত কাজে লাগানো সম্ভব হয়েছে।
এ ব্যাপারে অগ্নিকান্ডের শিকার গৃহকর্তা জৈনদ্দিন ঠাকুর বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে অনেক চেষ্টা করেও খড়ের গাদার আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ফোন করে এলাকাবাসী। তিনি মাত্র পাঁচ মিনিটের ব্যাবধানে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের যাবতীয় ব্যবস্থা করেন।
এ বিষয়ে চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানজিলা কবির ত্রপা বলেন, অগ্নিকান্ডের খবর শোনা মাত্রই আমি ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছি এবং ফায়ার সার্ভিসে খবর দিয়ে ফায়ার কর্মীদের দ্রুত কাজে লাগাতে সক্ষম হয়েছি।