নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ফরিদপুর শহরের চুনাঘাটা এলাকার অসহায় দরিদ্র বৃদ্ধা মাহফুজা বেগম মাথা গোজার ঠাঁই পেলেন। জেলা পুলিশের নিজস্ব অর্থায়নে বৃদ্ধার জন্য একটি টিনের ঘর তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জীবিকা নির্বাহের জন্য একটি মুদি দোকানও করে দেওয়া হয়েছে।
আজ ৩১ জানুয়ারি সোমবার দুপুরে বৃদ্ধা মাহফুজা বেগমের হাতে ঘরের চাবি তুলে দেন পুলিশ সুপার মো: আলিমুজ্জামান বিপিএম। এসময় পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, পৌরসভার চুনাঘাটা এলাকার বাসিন্দা বৃদ্ধা মাহফুজা বেগম (৪৮)। স্বামী আবুল কালাম মারা গেছেন দীর্ঘদিন পূর্বে। শেখ মারুফ নামে এক ছেলে সন্তান রয়েছে তার। ছেলেটির পায়ে সমস্যা থাকায় কোনো কাজ ঠিকমতো করতে পারেনা।
স্বামীর রেখে যাওয়া মাত্র ৩শতাংশ জমির উপর একটি ছাপড়া ঘরে বসবাস করতেন মাহফুজা বেগম। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন মানবিক কর্মকান্ড পরিচালনা করা হয়। এই খবর পেয়ে বৃদ্ধা মাহফুজা বেগম পুলিশ সুপারের কাছে এসে তার দূরাবস্থার কথা জানালে পুলিশ সুপার তার থাকার জন্য একটি ঘর ও জীবিকা নির্বাহের জন্য একটি মুদি দোকান করে দিয়েছেন।
জেলা পুলিশের রিজার্ভ অফিসার এস আই আনোয়ার হোসেন বলেন, এসপি স্যারের কাছে বৃদ্ধা মাহফুজা বেগম তার দূরাবস্থার কথা জানালে স্যার ওই বৃদ্ধার বাড়িতে গিয়ে খোঁজ খবর নিতে বলেন। ওই বৃদ্ধার বাড়িতে গিয়ে সত্যতা পাওয়া। আসেলই তিনি খুব মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন। এসপি স্যারকে বিষয়টি অবগত করা হলে স্যারের নির্দেশনায় জেলা পুলিশের অর্থায়নে ওই বৃদ্ধার একটি টিনের ঘর তৈরি করে দেওয়া হয়।
তিনি আরো বলেন, ঘরের পাশাপাশি ওই বৃদ্ধা ও তার ছেলের জীবিকা নির্বাহের জন্য বাড়ির উপরই একটি মুদি দোকান করে দেওয়া হয়েছে।
ঘর পেয়ে খুশি বৃদ্ধা মাহফুজা বেগম। তিনি বলেন, এর আগে শুনেছিলাম এসপি স্যার মানুষরে অনেক উপকার করে, এবার নিজেই তার প্রমান পেলাম। ঘরটি পেয়ে এখন শান্তিতে ঘুমাতে পারবো। ঘরের পাশাপাশি স্যার একটি মুদি দোকানও করে দিয়েছেন। সেখান থেকে যা রোজগার হবে তা দিয়ে ভালোভাবে চলতে পারবো।
তিনি আরো বলেন, এখন আর বৃষ্টির দিনে ঘর দিয়ে পানি পরবে না। শীতেও কষ্ট হবে না। একমাত্র ছেলেকে নিয়ে ভালোভাবে জীবনের বাকি দিনগুলো পার করতে পারবো। এসপি স্যার অনেক ভালো একজন মানুষ, স্যারের জন্য দোয়া করি।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো: আলিমুজ্জামান বিপিএম বলেন, অসহায় মানুষের পাশে সব সময় দাড়িয়েছে জেলা পুলিশ। এরই ধারাবাহিকতায় অসহায় বৃদ্ধা মাহফুজা বেগমকে একটি ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাকে একটি মুদি দোকানও করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও অসহায় মানুষের পাশে থাকবে জেলা পুলিশ।