স্টাফ রিপোর্টারঃ অবৈধ উপায়ে টাকা আদায়ের লক্ষে একটি পরিবারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ এক নারীর বিরুদ্ধে। ঘঠনাটি ঘটেছে ফরিদপুর সদর উপজেলার মাচ্চর ইউনিয়নের বাকচর গ্রামে।
অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের প্রধান বাছেদ শেখ, পিং মৃত-হামেদ শেখ, সাং লক্ষিপুর, থানা-রাজবাড়ী সদর, জেলা-রাজবাড়ী।
তিনি লিখিত অভিযোগে জানান, তাছলিমা বেগম, স্বামী- (১) সাহিদ সরদার, সাং বাকচর, পোঃ খলিলপুর, থানা-সদর, জেলা-ফরিদপুর, তাহার স্বামী (২) মোঃ আসাদ আব্দুল সালাম, সাং শাহ মুল্লুক পিরের চর, ভাংগা, ফরিদপুর। ঐ তাসলিমা বেগম প্রথম স্বামী সাহিদ সরদারকে তালাক না দিয়ে ইতালী প্রবাসী মোঃ আসাদ আব্দুল সালামকে ২য় স্বামী হিসেবে কাবিন রেজিঃ করে বিবাহে আবদ্ধ হয়। এরপর তিনি ২য় স্বামীর মাধ্যমে ২য় স্বামীর পরিচয়ে পাসপোট ভিসা করে ইতালী যান। তিনি ইতালী যাওয়ার পর তার ২য় স্বামীর সাথে ঝামেলা তৈরি হয়।
আমার বড় ছেলে মোঃ কামাল শেখ ও ইতালী থাকে, ঐ তাসলিমা আমার আত্মীয় হওয়ায় ইতালিতে তাসলিমার ২য় স্বামীর সাথে সমস্যা সৃষ্টি হলে সে আমার ছেলের নিকট আশ্রয় নেন। আমার ছেলে তাকে নিজের ৫০ হাজার টাকা দিয়ে তাসলিমাকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। আমার ছেলে তাসলিমাকে দেশে পাটিয়ে দেওয়ায় তাসলিমার ২য় স্বামী আমার ছেলে আটকিয়ে রেখে (তাসলিমাকে বিদেশ নেওয়া বাবদ) ৭ লক্ষ টাকা নিয়ে নেয়। দুঃখের বিষয় আমার ছেলে তাকে উপকার করলো। অথচ তাসলিমা দেশে এসে আমার এবং আমার স্ত্রী লাল বানু, দেশে থাকা ছেলে জামির শেখ ও জাকির শেখের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এরপর আপোস মিমাংসার কথা বলে এলাকার প্রভাবশালীদের দিয়ে চাপ দিয়ে আমার নিকট থেকে একাদিক বার প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা নিয়ে নেয়। মামলা তুলে নিবে এই বলে আপোস করে স্টাম্পে লিখিত আপোস মিমাংশা হয়। আপোসনামা উকিলের মাধ্যমে আদালতে দেওয়া হয়েছে। আমরা শারীশের শর্ত মোতাবেক টাকা দেওয়ার পর সে মামলা তুলে নিচ্ছে না। এ ব্যাপারে আপনাদের মাধ্যমে এই হয়রানি মুলক মামলা থেকে মুক্তি চাই।
এ ব্যাপারে তাসলিমার নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, তারা আমাকে ইতালী নেওয়ার জন্য আসাদের সাথে কাবিন করিয়ে স্বামী বানিয়ে কাগজ তৈরি করে দিছে। সেভাবে আসাদের নামেই আমার পাসপোর্ট হয়েছে। আমার স্বামী একজনই। এই কারনে আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করছি।